অ্যাসিড ক্লিনিং করার সময় নিরাপত্তা সতর্কতা-Safety precautions during acid cleaning/de-scaling of boilers
একটি বয়লারের অ্যাসিড ক্লিনিং করার সময় নিম্নলিখিত নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:
১) অ্যাসিড ক্লিনিং করার আগে, সকল পিতল বা ব্রোঞ্জের পার্টসগুলো অস্থায়ীভাবে ইস্পাত বা স্টিল এ্যালয় দিয়ে প্রতিস্থাপন করা।
২) অ্যাসিডের বাষ্প নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখা।
৩) বয়লারের সাথে সংযোগকারী অন্যান্য পাইপ বা সরঞ্জামের সাথে সকল ভাল্ভ বন্ধ করা।
৪) পুরো ক্লিনিং প্রক্রিয়টি কেমিক্যাল সুপারভিশনের মধ্যে রাখা।
৫) নির্দিষ্ট অ্যাসিড এবং ইনহিবিটর এর অনুমোদিত তাপমাত্রা অতিক্রম না করা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা হলে ইনহিবিটর এর কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং অ্যাসিড দ্বারা বয়লার মেটালের ক্ষয়ের মাত্রা বেড়ে যায়।
৬) অ্যাসিড পরিষ্কারের পরে, অনুভূমিক বা সামান্য ঢালু টিউবগুলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফ্লাশ করতে ভুলে না যাওয়া, কারণ এই টিউবের মধ্যে দ্রবণ প্রবাহে বাধা তৈরী হলে অত্যধিক হিট, এবং টিউবের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।
৭) অ্যাসিড পরিচালনা করার সময় সেফটি গগলস, রাবারের গ্ভলোস এবং রাবারের অ্যাপ্রন ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৮) দ্রবণগুলি মেশানোর সময় ধীরে ধীরে পানিতে অ্যাসিড ঢেলে মিশানো।
৯) রিভিট জয়েন্টে কেমিক্যাল ক্লিনিং করা যাবে না।
১০) অ্যাসিড ক্লিনিং এর সময়, অ্যাসিডের রিএ্যাকশনের মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়, কিছু গ্যাস বায়ুমন্ডলে মিশে যায় এবং কিছু বয়লার মেটাল দ্বারা শেষিত হয় (এ্যবজরব করে)। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মেটাল হতে তা মুক্ত হয় । তাই বয়লারের ভিতরে পরিদর্শনের সময় জমানো গ্যাস বের করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য ক্লিনিং শেষে বয়লারের ভিতরে গরম পানি দিয়ে ওয়াশ করতে হবে এবং বাতাস চলাচলের মাধ্যমে গ্যাস বের করে দিতে হবে।
১১) বিস্ফোরক গ্যাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে একটি নির্ভরযোগ্য combustible gas indicator ব্যবহার করা।
১২) ড্রামের ভিতরে কাজ করা কর্মীদেরকে কাজের এলাকায় অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের জন্য অক্সিমিটার সরবরাহ করা।
No comments:
Post a Comment