অনলাইনে ইলেকট্রিশিয়ান লাইসেন্সে যাচাই (Check Electrician License Online)
ব্রাউজার এর এ্যড্রেসবারে https://e-service.ocei.gov.bd/ লিখে Enter বাটনে ক্লিক করলে নিচের পেইজটি আসবে।
বয়লার ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ডিভাইস সম্পর্কে বাংলায় কিছু তথ্য শেয়ার করার প্রচেষ্টা মাত্র।
অনলাইনে ইলেকট্রিশিয়ান লাইসেন্সে যাচাই (Check Electrician License Online)
ব্রাউজার এর এ্যড্রেসবারে https://e-service.ocei.gov.bd/ লিখে Enter বাটনে ক্লিক করলে নিচের পেইজটি আসবে।
বয়লার অপারেটরের যেসকল কারিগরী বিষয় জানা থাকা উচিত--All the technical things that a boiler operator should know
১. বিভিন্ন প্রকারের বয়লারে গঠন ও কার্যপ্রনালী।
২. বয়লারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালের বৈশিষ্ট্য।
৩. বয়লারে বাষ্প উৎপাদনের প্রসেস।
৪. বয়লারে তাপ পরিবহনের নীতি।
৫. বয়লারের বিভিন্ন ফিটিংস, ভাল্ভ ও মাউন্টিংস ব্যবহারের উদ্দেশ্য, গঠন ও কার্যপ্রনালী।
৬. বয়লারের বিভিন্ন এক্সেসরিজে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ও গঠন।
৭. বয়লারের ব্যবহৃত বিভিন্ন জলানির বৈশিষ্ট্য।
৮. চাপ ও তাপের বিভিন্ন এককে পরিমাপ পদ্ধতি।
৯. ফিড পাম্প ও ফিডিং ডিভাইস এর গঠন ও কার্যপ্রনালী।
১০. সেফটি ভাল্ভ ও বে-ডাউন ভাল্ভ এর গঠন ও কাজ।
১১. বয়লার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সম্পর্কে সঠিক ধরানা ও মানমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কেমিক্যাল ব্যবহারের নিয়ম।
১২. ওয়াটার সফটনার ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ।
১৩. বয়লার কন্ট্রোল প্যানেল পরিচালনা করা।
১৪. বয়লারে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক সার্কিট সম্পর্কে সঠিক ধারনা।
১৫. বয়লারের প্রেসার পার্টস ক্ষয়ের কারন ও প্রতিকারের পদ্ধতি।
১৬. বয়লারের তাপতল পরিস্কারের পদ্ধতি সমূহ।
১৭. বয়লার ডি-স্কেলিং করার উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি।
১৮. বয়লার হাইড্রোস্ট্যাটিক টেস্ট করার উদ্ধেশ্য ও পদ্ধতি।
১৯. বয়লারের সেফটি ভাল্ভ টেস্ট করার পদ্ধতিসমূহ।
২০. সেফটি ভাল্ভ এর স্টিম টেস্ট করার পদ্ধতি।
২১. বয়লার মেরামত ও মেইনটেন্যান্স করার পদ্ধতি।
২২. বয়লার দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারন ও প্রতিরোধের উপায়সমূহ।
এছাড়াও বয়লারের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের যে বিষয়ে সঠিক ধারনা থাকতে হয়।
১. বয়লারের দক্ষতা পরিমাপ পদ্ধতি।
২. দক্ষতা বাড়ানোর উপায়।
৩. বয়লারের প্রেসার নির্ণয় পদ্ধতি।
৪. বয়লারের হিটিং সারফেস পরিমাপ পদ্ধতি।
৫. বয়লার ড্রইং বুঝতে পারা।
৬. বাষ্প লাইনের পিএন্ডআই ডায়াগ্রম স্কেচিং করা ও
৭. বিভিন্ন প্রকার বাষ্পের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি।
বয়লার অপারেটরের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা-Protective measures of boiler operator
একজন বয়লার অপারেটরের প্রথম কাজ হচ্ছে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত থাকা। একজন বয়লার অপারেটরের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিচে প্রদান করা হল।
১) নন-স্কিড সোল সহ নিরাপত্তা জুতা পরিধান করা।
২) লম্বা-হাতা শার্ট পরিধান করা এবং কেমিক্যাল রেসিসটেন্স হ্যান্ড গেভস পরা।
৩) উপযুক্ত চোখের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে; প্রয়োজনে নিরাপত্তা সুপারভাইজার বা সরবরাহকারীর সাথে পরামর্শ করা।
৪) শব্দের মাত্রা এবং শব্দের ধরনের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত শ্রবণ সুরক্ষা পরিধান করা; প্রয়োজনে সরবরাহকারী বা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা।
৫) রক্ষণাবেক্ষণ বা অন্যান্য কাজের সময় শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষা পরিধান করা, বিশেষকরে যেখানে ধুলো, ছাই বায়ুমন্ডলে ছেয়ে যেতে পারে
৬) ভারী লোডের জন্য নিরাপদ উত্তোলন এবং মুভিং কৌশল শিখা এবং ব্যবহার করা; উত্তোলনে সহায়তা করার জন্য যান্ত্রিক সাহায্য ব্যবহার করা।
৭) কার্বন মনোক্সাইড উৎপাদন রোধ করতে পর্যায়ক্রমে বার্নার অপারেশন চেক করা এবং সঠিকভাবে টিউন করা।
বয়লার পরিচালনা লাইসেন্সের শ্রেণি
বাংলাদেশে বয়লার পরিচালনাকারীদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে পরিচালনার লাইসেন্স প্রদান করার বিধান রয়েছে।
বয়লার পরিচালনার ৩ (তিন) শ্রেণির লাইসেন্স হচ্ছে-
গ্রেড-১: যে কোনো ধারণ ক্ষমতার একক বা সংযুক্ত বয়লার পরিচালনার জন্য;
গ্রেড-২: যে কোনো একক বা পৃথক বা সংযুক্ত বয়লারের সেট, যাহার তাপতল ৫ (পাঁচ) হাজার বর্গফুটের অধিক হইবে না, পরিচালনার জন্য;
গ্রেড-৩: যে কোনো একক বা পৃথক বা সংযুক্ত বয়লারের সেট, যাহার তাপতল ১,৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) বর্গফুটের অধিক হইবে না।
বয়লার পরিচালনার জন্য যে ক্ষেত্রে লাইসেন্সধারী ব্যক্তি একাধিক বয়লার পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন সেই ক্ষেত্রে অনুরূপ বয়লারগুলি অবশ্যই একই ব্যবহারকারীর হইতে হইবে এবং একই এলাকায় ১ (এক) শত ফুট ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত হইতে হইবে।
প্রত্যেক বয়লার অপারেটরের জানা উচিত-Every boiler operator should know
একজন অপারেটর যা জানতে পারে বা যা জানা উচিত সেগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি নয়, বরং প্রত্যেক বয়লার অপারেটরের জানা উচিত - তাদের লাইসেন্সের গ্রেড কত সেটা বিষয় না।
১) একটি বয়লারের সকল কন্ট্রোলস এর কার্যকারিতা এবং কীভাবে কাজ করে। (এটা কখনোই কাম্য নয় যে পরিণতি না জেনে বোতাম বা সুইচ চাপবে)।
২) যদি বয়লারকে অনুমোদিত সর্বনিম্ন পানির লেভেলের নিচে নেমে যায় তাহলে কি হবে।
৩) একটি বয়লারে ওয়াটার ফিডিং সিস্টেম এর সমস্ত সম্ভাব্য উপায়।
৪) পানির লেভেল বেড়ে গেলে তার পরিণতি।
৫) কিভাবে নিরাপদ পদ্ধতিতে ব্লো-ডাউন করতে হয় (বটম ব্লো-ডাউন, সারফেস ব্লো-ডাউন, কলাম ব্লো-ডাউন, লো-ওয়াটার কাট অফ)।
৬) কীভাবে একটি বয়লার নিরাপদে চালু করতে হয় এবং চালু বয়লার বন্ধ করতে হয়।
৭) একই হেডারে দুটি বয়লার এর বাষ্প সংযোগ থাকলে করণীয়।
৮) বয়লার সম্পর্কিত আইন ও বিধিবিধান।
৯) দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে, লো ওয়াটার কাট অফ একটি বয়লারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস কিন্তু প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। লো ওয়াটার কাট অফ এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।
১০) ফ্লোট-টাইপ এবং প্রোব-টাইপ লো ওয়াটার কাট অফ কীভাবে কাজ করে। বয়লারে লো ওয়াটার কাট অফ পরীক্ষা এবং সঠিক রাখার জন্য প্রস্তুতকারকের নির্দেশাবলী অনুসরন করা উচিত।
১১) কীভাবে লো ওয়াটার কাট অফ এর ড্রেন পরীক্ষা করতে হয়।
১২) কীভাবে লো ওয়াটার কাট অফ এর কুইক ড্রেন টেস্ট করতে হয়।
১৩) যদি একটি বয়লার এর পানির লেভেল কম থাকে (গেজ গ্লাসে পানি নেই, ইত্যাদি) তাহলে কি করতে হয়।
১৪) কীভাবে বয়লারে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ (বিচ্ছিন্ন) করতে হয় (গ্যাস চালিত বয়লার)।
১৫) কিভাবে বয়লারে বৈদ্যুতিক পাওয়ার বন্ধ করতে হয়।
১৬) কিভাবে একটি বয়লারে নিরাপত্তা বা সেফটি ভাল্ভ পরীক্ষা করতে হয়।
১৭) প্রস্তুতকারকের নির্দেশিত সমস্ত রক্ষণাবেক্ষণ আইটেমগুলির সাথে পরিচিত হওয়া এবং সেগুলি সম্পাদন করতে সক্ষমতা অর্জন করা বা সেগুলি অন্যকেউ সম্পাদন করলে বুঝে নেয়ার জ্ঞান অর্জন করা।
১৮) বয়লার সেফটি ভাল্ভ এবং বয়লার ব্লো-ডাউন পাইপিং এর ডিসচার্জ সম্পর্কে ধারনা থাকা (এটি কি নিরাপদ অবস্থান?)
১৯) কিভাবে একটি বয়লারের প্রেসার সুইচ পরীক্ষা করতে হয়।
২০) কিভাবে এবং কখন একটি বয়লার এর ব্লো-ডাউন দিতে হয়।
২১) একটি বয়লারের জন্য ভেন্টিং (ভেন্ট সংযোগকারী, স্মোক স্ট্যাক, চিমনী) সংযোগ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা।
২২) একটি বয়লারের দহন বাতাস কোথা থেকে কিভাবে আসে সে সম্পর্কে জ্ঞান থাকা
২৩) কীভাবে একটি বয়লারের গেজ গস পরীক্ষা করতে হয়, যাতে এটি বয়লারে সঠিক পানির লেভেল নির্দেশ করে।
২৪) সংশ্লিষ্ট বয়লার ইন্সপেক্টরের টেলিফোন/মেবাইল নম্বর সংগ্রহে রাখা।
২৫) বয়লার সুপারভাইজারের/উর্ধতনের টেলিফোন/মেবাইল নম্বর সংগ্রহে রাখা।
২৬) কত তারিখে বয়লার পরিচালনার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে এবং লাইসেন্স নবায়নের জন্য কি করতে হবে।
২৭) কত তারিখে বয়লার ব্যবহারের প্রত্যয়নপত্রের মেয়াদ শেষ হবে তা জেনে রাখা এবং উর্ধতন কর্মকর্তাকে ৩০ দিন পূর্বে অবগত করা।
২৮) বয়লার দুর্ঘটনার কারণ না হলেও বয়লারের ক্ষতি করে এমন সব দুর্ঘটনার রিপোর্ট করা।
প্রাইমিং এবং ফেমিং (Priming and Foaming):
বাষ্পের সাথে বয়লার ওয়াটার চলে যাওয়াকে প্রাইমিং বুঝায়। এটা সাধারনত বয়লার পরিচালনার উপর নির্ভর করে।
প্রাইমিং এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে-
১. বয়লারের পানির স্তরের উচ্ছ লেভেলে বয়লার পরিচালনা,
২. বয়লারের ডিজাইন প্রেসারের কম প্রেসারে বয়লার পরিচালনা করা,
৩. বয়লারে উৎপাদিত বাষ্পের চেয়ে চাহিদা বেশী হলে।
পানির কেমিক্যাল কম্পোজিশনের কারনে ফোমিং হয়। পিউর পানিতে ফোম হয়না কারণ বাষ্পের বাবলগুলো বড় হয় এবং সারফেসে দ্রুত ভেঙ্গে যায়। যদি পানিতে ডিজলভড বা সাসপেনডেড পার্টিকল থাকে তাহলে বাবলগুলো ছোট ছোট হয়।
ফোমিং এর কারণগুলো হচ্ছে-
১) পানির মধ্যে অধিক মাত্রায় সাসপেনডেড সলিডস বিদ্যমান থাকা।
২) পানির মধ্যে অধিক মাত্রায় ডিজলভড সলিডস বিদ্যমান থাকা।
৩) বয়লার পানির উচ্চ ক্ষারত্ব
৪) পানিতে ফোম তৈরী করে এমন কেমিকেল বয়লার পানিতে বিদ্যমান থাকা।
অ্যাসিড ক্লিনিং করার সময় নিরাপত্তা সতর্কতা-Safety precautions during acid cleaning/de-scaling of boilers
একটি বয়লারের অ্যাসিড ক্লিনিং করার সময় নিম্নলিখিত নিরাপত্তা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে:
১) অ্যাসিড ক্লিনিং করার আগে, সকল পিতল বা ব্রোঞ্জের পার্টসগুলো অস্থায়ীভাবে ইস্পাত বা স্টিল এ্যালয় দিয়ে প্রতিস্থাপন করা।
২) অ্যাসিডের বাষ্প নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা রাখা।
৩) বয়লারের সাথে সংযোগকারী অন্যান্য পাইপ বা সরঞ্জামের সাথে সকল ভাল্ভ বন্ধ করা।
৪) পুরো ক্লিনিং প্রক্রিয়টি কেমিক্যাল সুপারভিশনের মধ্যে রাখা।
৫) নির্দিষ্ট অ্যাসিড এবং ইনহিবিটর এর অনুমোদিত তাপমাত্রা অতিক্রম না করা। তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা হলে ইনহিবিটর এর কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং অ্যাসিড দ্বারা বয়লার মেটালের ক্ষয়ের মাত্রা বেড়ে যায়।
৬) অ্যাসিড পরিষ্কারের পরে, অনুভূমিক বা সামান্য ঢালু টিউবগুলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ফ্লাশ করতে ভুলে না যাওয়া, কারণ এই টিউবের মধ্যে দ্রবণ প্রবাহে বাধা তৈরী হলে অত্যধিক হিট, এবং টিউবের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে।
৭) অ্যাসিড পরিচালনা করার সময় সেফটি গগলস, রাবারের গ্ভলোস এবং রাবারের অ্যাপ্রন ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৮) দ্রবণগুলি মেশানোর সময় ধীরে ধীরে পানিতে অ্যাসিড ঢেলে মিশানো।
৯) রিভিট জয়েন্টে কেমিক্যাল ক্লিনিং করা যাবে না।
১০) অ্যাসিড ক্লিনিং এর সময়, অ্যাসিডের রিএ্যাকশনের মাধ্যমে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়, কিছু গ্যাস বায়ুমন্ডলে মিশে যায় এবং কিছু বয়লার মেটাল দ্বারা শেষিত হয় (এ্যবজরব করে)। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মেটাল হতে তা মুক্ত হয় । তাই বয়লারের ভিতরে পরিদর্শনের সময় জমানো গ্যাস বের করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য ক্লিনিং শেষে বয়লারের ভিতরে গরম পানি দিয়ে ওয়াশ করতে হবে এবং বাতাস চলাচলের মাধ্যমে গ্যাস বের করে দিতে হবে।
১১) বিস্ফোরক গ্যাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে একটি নির্ভরযোগ্য combustible gas indicator ব্যবহার করা।
১২) ড্রামের ভিতরে কাজ করা কর্মীদেরকে কাজের এলাকায় অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের জন্য অক্সিমিটার সরবরাহ করা।
ক্লিনিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাসিড-
কেমিক্যাল ক্লিনিং এর জন্য সাধারনত নিম্নোক্ত এসিডসমূহ ব্যবহার করা হয়-
১) হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
২) ফসফরিক অ্যাসিড
৩) সালফামিক অ্যাসিড
৪) সাইট্রিক অ্যাসিড এবং
৫) সালফিউরিক অ্যাসিড
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বয়লার পরিষ্কারের জন্য সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয় কারণ এটি তুলনামূলক ভাবে কম খরচে পাওয়া যায়, এবং এর সাথে সহজলভ্য ইনহিবিটার পাওয়া যায়। এছাড়াও, বয়লারে জমাকৃত ডিপোজিটস এর সাথে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড রাসায়নিক বিক্রিয়া করে সাধারণত দ্রবণীয় ক্লোরাইডে পরিণত হয়।
ফসফরিক অ্যাসিড
ফসফরিক অ্যাসিড নতুন বয়লার থেকে মিল স্কেল (সরষষ ংপধষব) অপসারণ করতে ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসিড বয়লার হতে ক্ষতিকারক বা ক্ষয়কারী ধোঁয়া তৈরি না করে কাজ করে। সরাসরি তাপের ফলে ক্লিনিং দ্রবনের সঠিক প্রবাহের মাধ্যমে পরিষ্কার করে। ফসফরিক অ্যাসিডের আরেকটি সুবিধা হল এই এসিড দিয়ে পরিষ্কার করা হলে তাপতল বা ধাতব পৃষ্ঠগুলি পরিষ্কার করার পরে ক্ষয় প্রতিরেধে ভালো কাজ করে।
সালফামিক অ্যাসিড
সালফামিক অ্যাসিড বাজারে পাউডার হিসেবে পাওয়া যায় যা অবশ্যই দ্রবীভুত করে ব্যবহার করতে হয়। তরল অ্যাসিডের চেয়ে পাউডার অ্যাসিড নিয়ে কাজ করা সহজ এবং নিরাপদ। এটি দ্রবীভূত হলে কোন ক্ষতিকারক ধোঁয়া বের হয় না এবং এটি হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের চেয়ে কম ক্ষয়কারী, বিশেষ করে উচ্চতর ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা।
সাইট্রিক অ্যাসিড এবং সালফিউরিক অ্যাসিড
সাইট্রিক অ্যাসিড এবং সালফিউরিক অ্যাসিড বয়লার ওয়াটারসাইড ডিপোজিট অপসারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। সালফিউরিক এসিড ইকোনোমিক্যাল। খারাপ দিক হচ্ছে যে সালফিউরিক অ্যাসিড অদ্রবণীয় লবণ যেমন ক্যালসিয়াম সালফেট গঠন করে।
ইনহিবিটরস
ইনহিবিটর ব্যতীত, অ্যাসিড দ্রবণগুলি বয়লার মেটালকে ক্ষতি করে যেমন সহজেই ডিপোজিটস গুলোকে নষ্ট করে। ইনহিবিটরস ব্যবহারের ফলে বয়লার মেটালের সাথে এসিডের কেমিক্যাল রিএ্যাকশন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়. ইনহিবিটরগুলির মধ্যে রয়েছে আর্সেনিক যৌগ , বেরিয়াম সল্ট , স্টার্চ, কুইনোলিন এবং পাইরিডিন ।
বাণিজ্যিক ইনহিবিটর গুলি বিভিন্ন নামে বিক্রি হয়। অন্যান্য ইনহিবিটরগুলি প্রস্তুতকারক সংস্থা কর্তৃক সম্পূর্ণ অ্যাসিড পরিষ্কার সার্ভিস হিসেবে সরবরাহ করে।
বয়লার রুমের অবস্থান:location of the boiler room
বয়লার ইনস্টলেশনের প্রথম ধাপ হল বয়লার রুম/বয়লার হাউসের অবস্থান এবং সাইজ/আকার নির্ধারণ করা। নিম্নলিখিত প্রধান কারণগুলি বয়লার হাউজের অবস্থান নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা যেতে পারে-
১. বয়লার হাউজটি অবশ্যই ইউটিলিটির কাছাকাছি অবস্থিত হওয়া উচিত এতে বাষ্প লাইনে বাষ্প পরিবহনের ফলে বাষ্পের চাপ কমে যাওয়া এবং কনডেনসেশন (ঘনীভূত) হওয়ার মত ক্ষতি কমে।
২. বাতাসের দিক, চিমনি থেকে ধোঁয়ার উপদ্রব এড়াতে।
৩. প্ল্যান্ট ও যন্ত্রপাতির নিরাপত্তা।
৪. বয়লার এবং এর যন্ত্রাংশের ক্ষয় এড়াতে কোরোসিভ এটমোসফিয়ার বা গ্যাস।
৫. অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য বয়লার এবং অন্যান্য কম্পোনেন্ট এর কাছাকাছি পর্যাপ্ত জায়গা।
৬. বয়লার হাউজের কাছে ওয়াটার সফটেনিং এবং ডোজিং প্ল্যান্ট বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্থান।
৭. জ্বালানি স্টোরেজ এবং হ্যান্ডলিং সিস্টেম বয়লার হাউসের কাছাকাছি রাখার পরিকল্পনা করা উচিত যাতে সহজে হ্যান্ডলিং করা যায়।
অনলাইনে ইলেকট্রিশিয়ান লাইসেন্সে যাচাই (Check Electrician License Online) ব্রাউজার এর এ্যড্রেসবারে https://e-service.ocei.gov.bd/ লিখে ...